মনজুর এ আজিজ: নেপাল থেকে ৫০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানি কার্যক্রম চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, নেপাল-ভুটান থেকে ৫০০ মেগাওয়াট ছাড়াও আরও জলবিদ্যুৎ আমদানি করতে চাই। ভারতের পাওয়ার মার্কেট থেকে বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়টিও সক্রিয় বিবেচনায় আছে। এক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংক, কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করতে পারে। ট্রান্সমিশনে বিদ্যুৎ লাইন বেসরকারি খাতে দেওয়ার জন্যও বিদ্যুৎ বিভাগ কাজ করছে বলে জানান তিনি। 

মঙ্গলবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধি দলের অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইলেক্ট্রিক্যাল ভেহিক্যালের প্রসারে বিদ্যুৎ বিভাগ উদ্যোগী হয়ে কাজ করছে। ইতোমধ্যে ইভি গাইডলাইন বা পলিসি তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশ প্রায় ৪ মিলিয়ন (৪০ লাখ) ইজিবাইক (ব্যাটারিচালিত তিন চাকার যান) বিদ্যমান। এখানে লেড ব্যাটারির পরিবর্তে লিথিয়াম ব্যাটারি ব্যবহার করা প্রয়োজন। 

তিনি বলেন, নবায়নযোগ্য উৎস থেকে আগামী দুই বছরের মধ্যে ২০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। নবায়নযোগ্য উৎস থেকে আগামী পাঁচ থেকে ছয় বছরের মধ্যে আরও ৬০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাইপলাইনে রয়েছে। কয়লা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ১০টি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করায় প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ চলে গেছে। কিন্তু ওই পরিমাণ অর্থ নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে আসছে না।

বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার ক্রস বর্ডার ট্রেড, আঞ্চলিক পাওয়ার পুল, দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক পাওয়ার মার্কেট, নেপাল ও ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানি ও ই-মবিলিটি নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় জ্বালানি খাতের বিদ্যমান ও আসা প্রকল্প নিয়েও আলোকপাত করা হয়।

সভায় বিদ্যুৎ বিভাগ এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সাত সদস্যের দলের পক্ষে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ও বিশ্বব্যাংকের আট সদস্যের প্রতিনিধি দলের পক্ষে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার নেতৃত্ব দেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নূরুল আলম, বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলাই শেক, অপারেশন ম্যানেজার দানদান চেন ও অপারেশন অ্যাডভাইজার গায়েল মার্টিন। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না